
ওমিক্রনের দাপটে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ফের পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেল। রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৫ হাজার ২২২ জনের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। সরকারি হিসাবে গত একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৫১ জন।
একদিনে এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল সর্বশেষ গত বছরের ২৪ আগস্ট, সেদিন ৫ হাজার ২৪৯ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৭১১ জন। তাদের মধ্যে ২৮ হাজার ১৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। এখন পর্যন্ত ১৫ লাখ ৫২ হাজার ৮৯৩ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন। ৫ মাস পর নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হারও ১৭ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
গত এক দিনে দেশে মোট ২৯ হাজার ৮৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তাতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৮২ শতাংশে। শনিবার এই হার ১৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ ছিল।
দেশে এখন সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ৩৬ হাজার ৬৭৪ জন, যা আগের দিনও ২৮ হাজার ৫৮৬ জন ছিল।
গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৩ হাজার ৬০৭ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট আক্রান্তের প্রায় ৮২ শতাংশ। দেশের ১৩ জেলায় একদিনে কারও করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২৯ হাজার ৬৪২টি, অ্যান্টিজেন টেস্টসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ হাজার ৩০৫টি। এখন পর্যন্ত এক কোটি ১৮ লাখ ৬১ হাজার ৪২৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানায়, শনাক্ত বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় প্রতি ১০০ নমুনায় ১৭ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় প্রতি ১০০ জনে সুস্থ হয়েছে ৯৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং মারা গেছেন ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ এবং ৩ জন নারী। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২ জন এবং ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১ জন মারা গেছেন।
বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৪ জন, চট্টগ্রামে ৩ জন এবং সিলেটে ১ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন ৬ জন এবং ২ জন বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন।