জাতীয় অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
গ্লোবাল সিলেট ডেস্কঃ- জাতীয় অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলাম মারা গেছেন। বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নিজ বাসায় তিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন বলে তাঁর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ও জাতীয় অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলাম বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন বলে জানা গেছে। ১৯২৭ সালে ১ মে, বগুড়ায় জন্ম নেওয়া অধ্যাপক নূরউল ইসলামের বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।
মুস্তাফা নূরউল ইসলাম সাহিত্যে অবদানের জন্য একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন। তিনি ‘সাহিত্যিক’ ও ‘সুন্দরম’ সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করেন মুস্তাফা নূরউল ইসলাম। এর আগে কলকাতার সুরেন্দ্রনাথ কলেজে গ্রাজুয়েশন শেষ করেন তিনি। পরে লন্ডন ইউনিভার্সিটির প্রাচ্য ভাষা ও সংস্কৃতি কেন্দ্র সোয়াস থেকে পিএইচডি ডিগ্রি নেন মুস্তাফা নূরউল ইসলাম।
অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলামের রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছিলেন। যদিও সাংবাদিকতা দিয়ে তাঁর কর্মজীবনের শুরু। দৈনিক আজাদ পত্রিকায় প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেছিলেন। এরপর ১৯৫১ সালে তিনি সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন দৈনিক সংবাদে। দুই বছর পর করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যান শিক্ষকতা পেশায়।
ছাত্রজীবনেই দিনাজপুর-রংপুর অঞ্চলের তেভাগা আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন মুস্তাফা নূরউল ইসলাম। বাহান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির প্রায় প্রতিটি আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৭১ সালে লন্ডনে পিএইচডি করার সময় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি।
৩০টির বেশি প্রবন্ধ সংকলন ও গবেষণা গ্রন্থ রয়েছে অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলামের। তার বইয়ের মধ্যে ‘সমকালে নজরুল ইসলাম’, ‘সাময়িকপত্রে জীবন ও জনমত’, ‘আমার বাংলা’, ‘বাঙালির আত্মপরিচয়’, ‘সেরা সুন্দরম’, ‘পূর্বমেঘ’, ‘আমাদের মাতৃভাষার চেতনা ও ভাষা আন্দোলন’, ‘আবহমান বাংলা’, ‘মুসলিম বাংলা সাহিত্য’, ‘সময়ের মুখ: তাহাদের কথা’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
মুস্তাফা নূরউল ইসলামের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। তার মেয়ে আতিয়া ইয়াসমিন ও নন্দিতা ইয়াসমিন এবং ছোট ছেলে রাজন দেশের বাইরে আছেন।
ছেলে-মেয়েরা আলোচনা করে বাবার দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানা গেছে। মুস্তাফা নূরউল ইসলামের মরদেহ অ্যাপোলো হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।
....সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করুন
সংবাদটি পড়া হয়েছে :564 বার!
সংবাদটি শেয়ার করুন:
- Click to print (Opens in new window)
- Click to share on Facebook (Opens in new window)
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window)
- Click to share on Twitter (Opens in new window)
- Click to share on Pinterest (Opens in new window)
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window)
- Click to share on Skype (Opens in new window)