মো. নাইম তালুকদার , নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- দেশের প্রবীণ রাজনীতিবীদের কথা নির্বাচন যদি দেখতে চাও ,দিরাইশাল্লা চলে যাও, এই স্লোগানকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীও সমর্থকদের মাঝে ততই ব্যস্ততা বাড়ছে। দিন-রাত নাওয়া-খাওয়া ভুলে বিরামহীন গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রার্থীরা উঠান বৈঠক, পথসভা, পোষ্টার, লিফলেট,প্রচার মাইকে জারি গান ও হ্যান্ড মাইক দিয়ে বিভিন্ন ভাবে ভোটারদের মন জয় করতে ব্যস্ত রয়েছেন। দিরাই উপজেলায় ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৭৪ কেন্দ্রে ১লাখ ৭১ হাজার ৩শত ভোট নিয়ে গঠিত এ উপজেলায় চেয়ারমন পদে ৪জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৮ জন ওমহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে ৪জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূল লড়াই হবে সরকার দলীয় সমর্থীত উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় ও এবং বিদ্রোহী প্রার্থী আলতাব উদ্দিন এর মধ্যে । অন্যদিকে কেউ কেউ মনে করেন বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মঞ্জুর আলম চৌধুরী ও দিরাই উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন রায় এর মধ্যে নির্বাচনের চুরান্ত ফলাফল হবে।প্রার্থীরা কাক ডাকাভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্লান্তহীন গণসংযোগে ব্যস্ত সময় কাটান। প্রার্থীরা উপজেলা পরিষদের এ পদটি পেতে ভোটারদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতির ফুলঝুঁড়িও দিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি পুরুষ ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থীরা কখনো দলীয় প্যানেলে আবার কখনো ব্যাক্তিগত ভাবে ভোটারদের কাছে ধর্ণা দিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।তাছাড়া ৮জন ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী্দের মধ্যে মোহন চৌধুরীকে (চশমা প্রতীক) এগিয়ে রাখছেন সাধারণ ভোটাররা।
মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থীদের এডভোকেট রিপা সিনহা ও বর্তমান মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান ছবি চৌধুরীর মধ্যে তুমুল লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে বিএনপির কোন প্রার্থী না থাকায় বিদ্রোহী প্রার্থীরা থাকিয়ে আছেন বিএনপির দিকে। বিজ্ঞজনের ধারনা যে, দিরাই উপজেলায় বিএনপির ভোট হতে পারে বিদ্রোহীদের জয়ের প্রধান উপাদান। গতকাল দিরাই উপজেলার পল্লী অঞ্চলের সাধারন ভোটারদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, উপজেলা নির্বাচনে হেভিওয়েট প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় সাধারণ ভোটাররা ভোট দেয়া নিয়ে বিভিন্ন গ্রামে-গঞ্জে জল্পনা-কল্পনা শুরু করেছেন। যাতে করে তাদের নিজ নিজ পচন্দের প্রার্থীকে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট প্রদান করতে পারেন এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।