
বস্তুত, নাসার এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এর আগে বহু কঠিন সময়ে্ নাসা মহাকাশ গবেষণার কাজ করেছে। সাফল্যও এসেছে। তাঁদের বিশ্বাস বর্তমান কঠিন সময়েও তাঁদের প্রকল্প সফল হবে। তবে সমস্যার এখানেই শেষ নয়। রকেট উৎক্ষেপনের জন্য যে সময় নির্ধারিত হয়েছিল, শেষ মুহূর্তে জানা যায় সে সময়েই ভূমিকম্প হবে। রিক্টার স্কেলে যার মাত্রা চার দশমিক দুই। ফলে পূর্ব নির্ধারিত সময়ের কয়েক মিনিট পরে রকেট উৎক্ষেপন করা হয়।
অ্যাটলাস রকেটে করে পার্সিভিয়ারেন্স এবং হেলিকপ্টার মঙ্গলে পাঠিয়েছে নাসা। সব ঠিক ঠাক থাকলে ২০১২১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলে পৌঁছবে রকেট। তার পরেই কাজ শুরু করে দেবে পার্সিভিয়ারেন্স। ১৯টি ক্যামেরা এবং দুইটি অত্যন্ত উন্নতমানের মাইকের সাহায্যে মঙ্গলে প্রাগৈতিহাসিক প্রাণের সন্ধান করবে। নাসার দাবি, এই প্রথম মঙ্গল থেকে শব্দ সংগ্রহ করা হবে। এর আগে সেখানে মাইক পাঠানো হয়নি।
বস্তুত পার্সিভিয়ারেন্স একা নয়, ২০২১ সালে সব মিলিয়ে তিনটি স্পেসক্রাফট থাকবে মঙ্গলে। ২০১২ সালে নাসার পাঠানো কিউরিওসিটি এখনও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে মঙ্গলে। লাল গ্রহে ২৩ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছে এই যানটি। অন্যদিকে গত সপ্তাহেই চীন প্রথম মঙ্গলে রকেট পাঠিয়েছে। ২০২১ সালের মে মাসের মধ্যে তারও মঙ্গলে পৌঁছে যাওয়ার কথা।
বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, বহু কোটি বছর আগে মঙ্গলের আবহাওয়া এমন ছিল না। সেখানে বড় বড় হ্রদ ছিল। নদী ছিল। এবং যেহেতু জল ছিল, ফলে সেখানে প্রাণও ছিল বলে তাঁদের ধারণা। নতুন মহাকাশযানের কাজই হবে বহু কোটি বছর আগের সেই প্রাণের সন্ধান। বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, এখনও সেই প্রাণের সন্ধান পাওয়া সম্ভব।
হেলিকপ্টার নিয়েও খুবই উত্তেজিত হয়ে আছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর মতো নয়। ফলে সেখানে আদৌ হেলিকপ্টার ওড়ানো সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে। তবে বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, মঙ্গলের আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখেই হেলিকপ্টারটি তৈরি করা হয়েছে। যদি তা ওড়ানো যায়, তাহলে এক ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটবে।
সূত্র
....সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করুন
সংবাদটি পড়া হয়েছে :257 বার!