by Global-Sylhet

গ্লোবাল সিলেট ডেস্কঃ-পাকস্থলীতে করে ইয়াবা পাচারের সময় দুই রোহিঙ্গাসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (২৮ মে) বেলা ১২টার দিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান।আটকৃত দুই রোহিঙ্গা হচ্ছে মো. সেলিম মোল্লা, তার ভাতিজা মো. আফছার ওরফে বাবুল (১২) এবং মাদক ব্যবসায়ী মো. মামুন শেখ, মো. শরিফুল, মো. ফাহিম সরকার ও মো. রাজিব হোসেনএর আগে রোববার ঢাকার দক্ষিণখান এলাকার পূর্ব গাওয়াইর এলাকা থেকে ছয়জনকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। একই এলাকা থেকে চার মাদক ব্যবসায়ীকেও আটক করা হয়।ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, ‘ইয়াবা পাচারের সঙ্গে রোহিঙ্গা শিশুদের জড়ানো হচ্ছে। বেশি টাকার লোভে রোহিঙ্গা পরিবারগুলো মাদক পাচারে তাদের শিশুদের পাঠিয়ে সহযোগিতা করছে।’তিনি জানান, ‘গ্রেফতার রোহিঙ্গা সেলিম মোল্লা উখিয়ার লেদা ক্যাম্পে পরিবারসহ থাকে। ১২ বছরের আফজার তার আপন বড় ভাইয়ের ছেলে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসে রেজওয়ান নামে এক মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে সেলিমের পরিচয় হয়।’রেজওয়ানের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর জেলায়। ইয়াবা ব্যবসা করার জন্য সে কক্সবাজারেই বাসাভাড়া নিয়ে থাকে। ঢাকায় মামুন তার প্রধান সহযোগী।রেজওয়ান পাঁচ হাজার ইয়াবার চালান ঢাকায় পাঠানোর জন্য রোহিঙ্গা সেলিম মোল্লার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় চুক্তি করে। এরপর সেলিম তার ভাতিজা আফছারকে নিয়ে ঢাকায় ইয়াবা নিয়ে আসার পরিকল্পনা করে।৫০ পিস করে ইয়াবা ক্যাপসুল আকারে তৈরি করে স্কচটেপ ও পলিথিনে মুড়িয়ে। এরপর ৩০টি ক্যাপসুল পানি দিয়ে আফছারকে গিলিয়ে দেয়। এছাড়া এমন ৭০টি ইয়াবা ক্যাপসুল সেলিম নিজে গিলে খায়। মোট ৫ হাজার ইয়াবা এভাবে তারা গিলে পেটে করে নিয়ে আসে ঢাকায়।আসার পথে তারা কোনোকিছু খায় না। এমনকি ওষুধ খেয়ে নেয় যাতে পায়খানা না হয়। ঢাকায় এসে তারা ফের ওষুধ খায় মলত্যাগ করার জন্য।এভাবে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে ইয়াবা পাচার করে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। এভাবে ক্যাপসুল (পোঁটলা) বানিয়ে ইয়াবার প্যাকেট গিলে ঢাকায় এসে টয়লেট করে তা আবার বের করে দেয় রোহিঙ্গারা।তিনি আরও বলেন, ‘বিকালে আফছার ও তার চাচা সেলিম উখিয়া থেকে বাসে করে ঢাকায় আসে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের আটক করে ডিবি। এরপর ইয়াবা চালান গ্রহণের জন্য অপেক্ষমাণ মামুন ও তার সহযোগীদের আটক করা হয়।’অতিরিক্ত কমিশনার জানিয়েছেন, এর আগেও আফছার ও তার চাচা সেলিম একাধিকবার ঢাকায় একইভাবে ইয়াবা নিয়ে আসে। তারা কখনও বাসে, কখনও ট্রেনে আসে। আরও রোহিঙ্গা শিশু আছে যাদের এভাবে ইয়াবা পাচারের সঙ্গে তারা জড়িয়েছে মাদক ব্যবসায়ীরা।শিশু আফছার এই ইয়াবা চালান পৌঁছে দিতে পারলে ১০ হাজার টাকা পেত। তার চাচা সেলিম পেত ১৫ হাজার টাকা। এত কম সময়ে বেশি টাকা আয়ের লোভে এই পথে রোহিঙ্গা শিশুদের তাদের পরিবার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে তুলে দিচ্ছে বলেও জানান অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাস।চলতি অভিযানে রাজধানীর শীর্ষ ১১ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি। তারা কারাগারে রয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
....সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করুন
সংবাদটি পড়া হয়েছে :821 বার!
সংবাদটি শেয়ার করুন:
- Click to print (Opens in new window)
- Click to share on Facebook (Opens in new window)
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window)
- Click to share on Twitter (Opens in new window)
- Click to share on Pinterest (Opens in new window)
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window)
- Click to share on Skype (Opens in new window)