শাল্লা প্রতিনিধি:- গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টায় শাল্লা উপজেলার আনন্দপুর গ্রামে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী রিংকু রায় নামে এক ব্যাক্তিকে আক্রমন করেছে। পুর্ব শত্রুতার জের ধরে এই আক্রমন করা হয়েছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে। তবে আক্রমনের শিকার রিংকু রায় এখনো হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। জানা গেছে, সাংবাদিকতার আড়ালে জয়ন্ত সেন উপজেলায় এক সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করেছে। যা প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো ঘটনার জন্ম দিচ্ছে। এই সন্ত্রাসী বাহিনীর পেছনে নেতৃত্ব দিচ্ছে জয়ন্ত সেন আর বিকাশ চক্রবর্তী। বিকাশ চক্রবর্তী উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের উমেশ চক্রবর্তীর ছেলে। আর জয়ন্ত সেন(অজন্ত) তরুনী সেনের ছেলে। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রিংকু রায় হাওড় থেকে আসার পথে নোয়াহাটি নামক স্থানে বিকাশ ও জয়ন্ত সেনের নেতৃত্বে ১০/১৫ জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রিংকু রায়ের উপর হামলা চালায়। হামলার সময় প্রান ভিক্ষে চেয়েও বাঁচতে পারিনি। এক পর্যায়ে নোয়াহাটির কয়েকজন মহিলা এসে রিংকু রায়কে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এদিকে শাল্লা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নং ৫। মামলার এজাহারে আসামীরা হলেন, আনন্দপুর গ্রামের মৃত: হরিবল দাসের ছেলে বকুল দাস, বরুণ দাস, মৃত: হরেন্দ্র দাসের ছেলে দিপু দাস, দিগেন্দ্র দাসের ছেলে প্রদীপ দাস, তরনী সেনের ছেলে জয়ন্ত সেন, জগন্নাথ দাসের ছেলে পীযুষ দাস, প্রেমতোষ দাস, রাকেশ দাসের ছেলে চয়ন দাস, উমেশ চক্রবর্তীর ছেলে বিকাশ চক্রবর্তী, সুভাষ দাসের ছেলে সুব্র্রত দাস, রসিক লাল দাসের ছেলে সুকুমার দাস, জয়কুমার দাস ও দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের মাহতাপপুর গ্রামের রাজীব দাস।মামলা দায়েরের পর থেকে এখনো কোনো আসামী ধরতে পারেনি শাল্লা থানার পুলিশ। ফলে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, আনন্দপুর গ্রামে এই প্রথম একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। তাই ন্যক্কারজনক ঘটনার সাথে সকল জড়িত ব্যাক্তিদের আইনের মাধ্যমে শাস্তি দেয়ার দাবী জানাচ্ছেন আনন্দপুর গ্রামবাসী। শাল্লা থানার ওসি আশরাফূল ইসলাম জানান, তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আমরা মামলা করেছি। আসামীদের ধরতে প্রতিদিনই অভিযান চালাচ্ছি। এলাকায় কোনো আসামী নেই। তবে অভিযান অব্যাহত আছে।
....সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করুন
সংবাদটি পড়া হয়েছে :366 বার!