![]() |
নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দর ও যশোরের বেনাপোলে পৃথক অভিযানে ৭ কেজি ওজনের মোট ৬০টি সোনার বার ও সোনার পাতসহ দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা।আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন-চট্টগ্রামের মোহাম্মদ ইকবাল ও ভারতের কলকাতার রঞ্জন সাহা।শুক্রবার সকালে পৃথক অভিযানে এসব সোনা জব্দ করা হয় বলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. সহিদুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে জানিয়েছেন।শুল্ক গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ওসমানী বিমানবন্দর সিলেটে সকাল ১০টায় ওমানের মাস্কাট থেকে বিজি-২২২ ফ্লাইট সিলেট বিমানবন্দরে অবতরণ করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রামেজিংকালে 37J সিটের নিচ থেকে তিনটি কস্টেপ মোড়ানো অবস্থায় ৬০ পিস সোনার বার জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দার একটি টিম। এ সময় সন্দেহভাজন এক যাত্রীকেও আটক করে কাস্টমস হলে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে বিমানবন্দরে উপস্থিত অন্য সংস্থার প্রতিনিধির সামনে তিনটি প্যাকেট খুলে ইনভেন্ট্রি করে ৬০ পিস সেনা পাওয়া যায়। যার প্রতিটি বারের ওজন ১১৬ গ্রাম করে মোট ৬.৬৯৮ কেজি। আটককৃত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ ইকবাল। বাড়ি চট্টগ্রামে।
এদিকে অপর এক অভিযানে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে ৩৭৪ গ্রাম সোনার পাত চোরাচালানের অভিযোগে রঞ্জন সাহা নামক এক ভারতীয় যুবককে আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা।গোপন সংবাদে যাত্রীকে সনাক্তের পর গোয়েন্দারা তাকে ফলো করতে থাকে। যাত্রী ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস পার হবার পর শুল্ক গোয়েন্দা যাত্রীকে চ্যালেঞ্জ করে বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে তল্লাশি করে কোমড়ের বেল্টে বিশেষভাবে লুকায়িত অবস্থায় এবং শরীরের অন্য যায়গায় লুকায়িত অবস্থায় ৫টি সোনার পাত ও ১টি চুড়ি উদ্ধার করা হয়। যার মোট ওজন ৩৭৪ গ্রাম এবং মূল্য প্রায় ১৮ লাখ টাকা। আটক যাত্রীর নাম রঞ্জন সাহা। বাড়ি কলকাতায়।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, ঢাকার তাঁতীবাজার থেকে এই পাতগুলো কিনেছেন এবং অধিক মুনাফার আশায় ভারতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ব্যবসায়ী পরিচয় দেওয়া এই ব্যক্তি গত এক বছরে বাংলাদেশে ২০ বার আসা যাওয়া করেছেন। পূর্বে কয়েকবার তিনি সোনা পাচার করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। ফৌজদারি মামলা দায়ের শেষে তাকে বেনাপোল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।