
(২০১৭ সালের মিস ইসরায়েল এডার গান্ডেলসম্যান)
মিস ইসরায়েল এডার গান্ডেলসম্যানও তার বাইরে নন, আর সে কারণেই মিস ইরাকের সাথে দেখা হলেও কথা বলা নিয়ে টেনশনেই ছিলেন তিনি। তিনি বলেন, “আমি আসলে তার কাছ যেতে কিংবা কথা বলতে ভয় পাচ্ছিলাম কারণ শুরুতে ভয় পাচ্ছিলাম যে আমি তার কাছে গেলে সে আবার কোন ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখায় এটা ভেবে”।কিন্তু দু’দেশের বিরোধকে এক পাশে রেখে সানন্দেই কথা হলো দুজনের, যেমনটি বলেন সারাহ আইডান। তিনি বলেন, “আমি বলেছিলাম ওটা কোন সমস্যা হতে পারেনা, কারণ আমরা দুজনই অ্যাম্বাসেডর অব পিস বা শান্তির দূত”।এরপরই তারা ছবি তোলার সিদ্ধান্ত নেন একসাথে। আর এ যুগে দু’জনের ছবি তোলা মানেই তো সেলফি। মিস ইসরাইল বলেন ততক্ষণে তাদের মধ্যে সম্পর্কটা বন্ধুত্বেই পরিণত হয়েছিলো। তিনি বলেন, “আমরা বন্ধু হয়ে গিয়েছিলাম এবং আমরা চেয়েছিলাম সবাই সেটি দেখুক। এরপরই তারা আলোচিত সেলফিটি তোলেন।
(এই সেলফিটি প্রকাশ করা হয়েছিলো)
এর অন্তত ছ’মাস পরে ইসরাইলপন্থী একটি সংস্থা ‘দ্যা আমেরিকান জুইশ কমিটি’র আমন্ত্রণে মিস ইরাক সারাহ যান ইসরায়েলে। সেখানে আবারো দু’বন্ধুর মধ্যে সাক্ষাৎ হয়। সেখানেও গিয়ে তার মনে হয়েছে ইসরায়েলের মানুষেরা তো তাদেরই মতো।তিনি বলেন, “লোকজন আমার মতো এবং অনেকে আরবিতে কথা বলে। জেরুজালেম শহর আমাকে মনে করিয়ে দেয় দামেস্কের কথা। আমি তো সিরিয়ায় অনেকদিন বাস করেছিলাম। তাই সবকিছুই পরিচিত মনে হচ্ছিলো। আমার নিজের মাটির মতোই”।কিন্তু সবকিছু এতো সহজ ছিলোনা। ইনসটাগ্রামে প্রকাশ হওয়া সেলফির জের ধরে শেষ পর্যন্ত নিজের দেশই ছাড়তে হয় সারাহ আইডান ও তার পরিবারের সদস্যদের।
....সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করুন
সংবাদটি পড়া হয়েছে :393 বার!